জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে ফরিদপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে জামায়াত।আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে মডেল মসজিদের সামনে থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফরিদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
ফরিদপুর জেলা আমীর মাওলানা বদরউদ্দিন এর সভাপতিত্বে এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে এ বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।এছাড়া সমাবেশ পরবর্তী একটি বিক্ষোভ মিছিল পুরাতন বাস স্ট্যান্ড হতে শুরু করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ পূর্বক ফরিদপুর জজ কোর্টের সামনে এসে শেষ হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সূরা সদস্য দেলোয়ার হোসাইন, ফরিদপুর জেলা শাখার সেক্রেটারি প্রফেসার আব্দুল ওয়াহাব, নায়েবে আমির ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমদ, আবু হারিস মোল্লা, কেন্দ্রীয় সূরা সদস্য প্রফেসর আব্দুত তাওয়াব, ফরিদপুর সদরের আমীর মোঃ জসিম উদ্দিন, ফরিদপুর জেলা শাখার নায়েবে আমীর ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, ফরিদপুর শহর শাখার আমির মোঃ জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ফরিদপুর শাখার শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি এস এম মাহাবুবুল বাশার সহ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফরিদপুর জেলা শাখা ও অঙ্গ-সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের সমালোচনা করে বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে আটক রয়েছেন। তাকে বার বার রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি বেশ কয়েকবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে ন্যূনতম চিকিৎসা সেবাটুকুও দেওয়া হয়নি। ৫ আগস্টের পর অনেক মামলায় অনেকেই জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে। মিথ্যা মামলায় ফাঁসির আসামিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এটিএম আজহারুল ইসলাম এখনও মুক্তি পাননি। এই সরকারের আমলে রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি দিতে হবে, এটা আমরা ভাবতে পারিনি। জামায়াতে ইসলামী বাধ্য হয়ে আজকে সারা বাংলাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে। অবিলম্বে এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান।
খুনি শেখ হাসিনা জামায়াত ইসলামকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল।বক্তারা বলেন বাংলাদেশের মানুষ খুনি হাসিনাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে ছাড়বে ইনশাল্লাহ।৫ই আগস্ট এর পূর্বে সকল হত্যাকাণ্ডের অবিলম্বে বিচার করতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। হাসিনা সরকার এদেশ থেকে ইসলাম উৎখাতের চেষ্টায় নিয়োজিত ছিল। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। আগামী দিনের কর্মসূচিতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।