1. kazi.rana10@gmail.com : Sohel Rana : Sohel Rana
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন

“এখন আর দিল্লী নয়, এদেশের জনগণই নির্ধারণ করবে ঢাকার মসনদে কে বসবে” ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশে : হাসনাত আব্দুল্লাহ

আবুলহাসনাত
  • Update Time : সোমবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১৭৬ Time View

“এখন আর দিল্লী নয়, এদেশের জনগণই নির্ধারণ করবে ঢাকার মসনদে কে বসবে”

ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশে : হাসনাত আব্দুল্লাহ

ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “ঢাকার মসনদে কে বসবে সেটি আগে দিল্লি থেকে নির্ধারণ করা হতো। এখন আর দিল্লী নয়, এদেশের জনগণই নির্ধারণ করবে ঢাকার মসনদে কে বসবে” তিনি আরো বলেন, “গত দেড় দশক ধরে খুনি হাসিনা আমাদের দেশের রাজনৈতিক কাঠামোকে ভেঙে দিয়েছে। আমাদের দেশটাকে নেতৃত্ব শূন্যতার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। আমাদের পূর্বতন যে রাজনৈতিক নেতৃত্ব রয়েছে তাদের বিভাজনের কারণে তারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কোন আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি, তারা ব্যর্থ হয়েছে। তারা যেখানে ব্যর্থ হয়েছে, ঠিক সেই জায়গাতেই আমাদের তরুণ প্রজন্মকে হাল ধরতে হয়েছে। তিনি বলেন, আগস্টের ৬ তারিখের পর আজ পর্যন্ত কোন দৃশ্যমান বিচার আমরা দেখতে পাইনি। ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকান্ডের বিচার হয় নাই। ২০১৪ সালের শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ডের কোন বিচার হয় নাই। ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে যেভাবে নির্বাচনে কারচুপি করা হয়েছে সেগুলির এখন পর্যন্ত কোন বিচার হয় নাই। তিনি অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, যদি এই অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার আমাদের কাজকে অন্তর্ভুক্ত করতে চায়, তাহলে অবশ্যই অবশ্যই এই বিচারগুলিকে সম্পন্ন করতে হবে। এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা দেখি নানা বিদ্রোহ করা হয়। সচিবালয়ে আগুন লাগানো হয়। আপনাদেরকে বলি- আপনারা রিয়েলিটি মাইনা নেন।ছাত্রসমাজ জেগে আছে যতদিন, ততদিন এই খুনি শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরে আসতে পারবেনা। বিগত সরকার তার নতযানুতার কারণে ফেলানী হত্যাকাণ্ডের কোন বিচার চায়নি”।


হাসনাত আব্দুল্লাহ আরো বলেন, অবিলম্বে ‘প্রোক্লেমেশন অফ জুলাই রেভ্যূলিউশন’ ঘোষণা সরকারকে দিতেই হবে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে ঠিক সেইভাবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার করতে হবে। আগে বিচার হবে তারপর সংস্কার, এরপরে নির্বাচন। তার আগে কোনভাবেই নির্বাচন দেয়া যাবে না।ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার সম্পূর্ণ বিলোপ, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিনির্মাণ এবং ‘প্রোক্লামেশন অফ জুলাই’ রেভুলেশন এর জন-আকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্তি ছাড়া কোন ভাবে নির্বাচন সম্ভব না”।

শহরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের মাঠে সোমবার (০৬ জানুয়ারি) বিকাল ৪টার দিকে সমাবেশ শুরু হয়।

এসময় সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, “যারা ক্ষমতার লোভে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মানুষের রক্ত ও জীবনকে বিন্দুমাত্র মূল্য দেয় না তাদেরকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না বাংলাদেশের মানুষ। এই দেশের মানুষের জীবনের দিকে আর যদি কোন শকুন দৃষ্টি দেয় তাহলে তার চোখ উপড়ে ফেলবো। হোক সে দেশের ভিতরের শক্তি অথবা বাইরে শক্তি। আমরা আমাদের শহীদ ভাইদের হত্যার বিচার চাই। ঐ শেখ হাসিনা দেশে আসবে, তবে সে দেশে এসে সরাসরি ওই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াবে এবং সরাসরি ওই কাঠগড়া থেকে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়াবে। বাংলাদেশে অবশ্যই একটি যৌক্তিক সময় নির্বাচন হবে। তবে তার পূর্বে এই খুনি হাসিনা আমাদের এই দেশের সিস্টেম গুলোকে যেই ভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে, সেই সিস্টেমগুলোকে সংস্কার করতে হবে। আমাদের এই বাংলাদেশ আর কোন নতজানু পররাষ্ট্র নীতিতে বিশ্বাস করেনা। আমরা চোখে চোখ রাখা পররাষ্ট্রনীতি ঠিক করবো। পৃথিবীর কোন বহিঃশক্তি যদি আমাদের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণের চেষ্টা করে তাহলে আমরা সেই পররাষ্ট্রনীতি ছুঁড়ে ফেলবো। তিনি বলেন, আমরা একটি জুলাই অভ্যূত্থানের ঘোষণাপত্র দিয়েছি। সংবিধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় জুলাই অভ্যূত্থানের স্বীকৃতি থাকতে হবে। এই অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি সংবিধানের লিপিবদ্ধ থাকতে হবে। সেই ঘোষণাপত্রে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের কথা স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকতে হবে।কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সেল সম্পাদক জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় ছাত্র সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন সমন্বয়ক হাসিব-আল ইসলাম, রিফাত রশীদ, আশরেফা, রাজেন্দ্র কলেজ শাখার প্রধান কাজী রিয়াজ, ফারহান আহসান অর্ণব, নাবিলা তালুকদার, তাহসিন হাসান দ্বীন, মাহমুদুল হাসান ওয়ালিদ, সানজিদা রহমান সমতা, জেবা তাহসিন, শাহ মো: আরাফাত প্রমুখ। বক্তাগণ বলেন, জুলাই আন্দোলনের সময় ফরিদপুরে বিভিন্ন স্থানে ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। এই সকল সশস্ত্র হামলার সাথে জড়িত অপরাধীরা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখনো অনেকে আমাদের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। আন্দোলনে আহত অনেকে পারিবারিক কারণে থানায় মামলা করতে পারেনি। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, আন্দোলকারীদের উপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। এই দেশে আর মুজিববাদ ফিরে আসবে না।

সমাবেশ মধ্যম সময়ে মঞ্চ থেকে নেমে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছাত্র আন্দোলনে ফরিদপুরের ৮ জন শহীদ ও আহতদের খোঁজখবর নেন হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। ছাত্র সমাবেশ উপলক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী সমর্থকরা ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীরা ব্যানার ও প্লাকার্ড নিয়ে মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023
error: Content is protected !!