দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ফরিদপুরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ ঘোষণা দেয়া হয়। ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা: গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’- এ প্রতিপাদ্যের আলোকে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন, জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ টিআইবি’র যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতেই জেলা প্রশাসন ফরিদপুরে কার্যালয়ের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও শান্তির বেলুন উড্ডয়নের মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লা। এ সময় জেলা প্রশাসন, দুদক, জেলার সব সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় বিশেষ করে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, জনপ্রতিনিধি, নাগরিক মঞ্চ, সুশীল সমাজ প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, ইয়ুথ সেচ্ছাসেবী, ছাত্র-ছাত্রী, সনাক, এসিজি, ইয়েস সদস্যরা ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মুখের রাস্তায় মানববন্ধনে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তর তাদের নিজ নিজ ব্যানার হাতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একাত্মতা পোষণ করেন। এদিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দুদক ফরিদপুরের উপ-পরিচালক রতন কুমার দাশের সভাপতিত্বে আলোচনা সভার শুরুতেই সনাক-টিআইবি’র পক্ষে দিবসটি উপলক্ষে ১৪টি দাবি উপস্থাপন করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লা। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল ও দুপ্রক সভাপতি প্রফেসর মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ, সনাক সভাপতি অধ্যাপক শিপ্রা রায় প্রমুখ।বিশেষ অতিথি হিসাবে সনাক সভাপতি অধ্যাপক শিপ্রা রায় বলেন, টিআইবি ২০০৪ সাল থেকে দিবসটি পালন করছে, শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত দেশ আসলে নেই, বিগত ২৪ বছর ধরে দিবসটি পালন হয়ে আসছে। কিন্তু দুর্নীতি সেই মাত্রায় কমেনি। তিনি বিশ্বাস করেন, তরুণদের হাত ধরেই বাংলাদেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে। অধ্যাপক মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ নিজেকে দিয়ে শুরু করতে হবে।