মুকসুদপুরে মামলা করে বিপাকে পড়েছেন বাদী নিত্য বৈরাগী। আসামি মিঠু বৈরাগী ও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও আত্মীয়স্বজনের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় জীবন যাপন করছেন তিনি।
হুমকীদাতারা বাদীর একই গ্রামের বীর মুক্তি যোদ্ধা বিভুতি ভূষন বৈরাগী, শ্রীপতি বৈরাগী জলিরপাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, সঞ্জয় বৈরাগী জলিরপার ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাংস্কতিক সম্পাদকসহ আরো অনেকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
আসামিদের অবৈধ প্রভাবে এখনও কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি তদন্ত কর্মকর্তা গ্রেফতার করতে পারবে কিনা এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন বাদী।
ঘটনাটি ঘটেছে মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপার ইউনিয়নের কলিগ্রামে।
গত ৭ অক্টোবর মুকসুদপুর থানায় তার ছেলে প্রসোনাজিৎ বৈরাগীকে হত্যার চেষ্টায় ৫ জন ও অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনকে আসামী করে মুকসুদপুর থানায় মামলা দায়ের করে নিত্য বৈরাগী। তিনি মুকসুদপুর উপজেলার কলিগ্রামের মৃত শরৎ বৈরাগীর ছেলে ।
মামলা সুত্রে জানাযায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৬ সেপ্টেম্বর মিঠু বৈরাগীর হুকুমে সকল আসামী শাওন মার্কেটের সামনে প্রসোনাজিৎ কে এলপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে ফেলে রাখে। এলাকার গ্রাম্য ডাক্তার রিপন প্রসোনাজিৎকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে অবস্থা খারাপ হলে তাকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলে ডা. সঞ্জয় সাহার কাছে নেওয়া হয়। সর্বশেষ ঢাকা ধানমন্ডী কিডনি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়।
মামলার বাদী নিত্য বৈরাগী বলেন, আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য। এদিকে আসামীদেরকে গ্রেফতার ও করছেনা পুলিশ। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় জীবন যাপন করছি।
তিনি আরো বলেন, আমি আপনাদের ও তদন্ত কর্মকতার সুষ্ঠ তদন্তর মাধ্যমে ন্যায় বিচার চাই।
মামলার তদন্ত কর্মকতা এস আই শহিদুল ইসলাম বলেন, আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্ঠা চলছে খুব শিগরই গ্রেফতার করা হবে।