গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর এলাকায় “চাঞ্চল্যকর সতীশ রায় হত্যা মামলার” প্রধান পলাতক আসামী তপন মৌলিক (৩৩)’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
জানাযায়, গতকাল সকালে র্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুর ক্যাম্পের আভিযানিক দল তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা ও র্যাব-০৮ এর সহযোগীতায় ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানাধীন কালীবাড়ি মোড় এলাকায় একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর এলাকায় চাঞ্চল্যকর সতীশ রায় হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান পলাতক আসামী তপন মৌলিক (৩৩), পিতা-নারায়ণ মৌলিক, সাং-ননিক্ষীর, থানা-মুকসুদপুর, জেলা-গোপালগঞ্জ’কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী হত্যাকান্ডে তার সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনী, বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার,ছিনতাইকারী, অপহরণ ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত চাঞ্চল্যকর এবং আলোচিত হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
প্রসঙ্গত: গত ১৭ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানাধীন ননিক্ষীর এলাকায় জনৈক নারান মৌলিক এর চায়ের দোকানের সামনে বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন কেটে দেওয়াকে কেন্দ্র করে সতীশ রায় ও তার সহযোগীদের সাথে তপন মৌলিকের কথা-কাটাকাটি হয়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তপন মৌলিক রাগান্বিত হয়ে তার অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে সতীশ রায় ও দীপঙ্কর রায়ের উপর এলোপাথাড়ি আক্রমন শুরু করে। মারপিটের একপর্যায়ে সতীশ রায় ও দীপঙ্কর রায়ের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তপন মৌলিক ও তার অন্যান্য সহযোগীরা সতীশ রায় ও দীপঙ্কর রায়কে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। অতঃপর স্থানীয় লোকজন সতীশ রায় ও দীপঙ্কর রায়কে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য মুকসুদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার বর্তব্যরত চিকিৎসক সতীশ রায়কে মৃত ঘোষনা করেন এবং দীপঙ্কর রায়কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। উক্ত ঘটনায় মৃত সতীশ রায়ের পরিবারের লোকজন বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানায় আসামী তপন মৌলিকসহ ১১ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৮, তারিখ-১৯/০৯/২০২৪ইং, ধারা-৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩০২/১১৪/৫০৬/৩৪, দন্ডবিধি ১৮৬০। মামলা রুজুর বিষয়টি জানতে পেরে উক্ত হত্যাকান্ডে জড়িত সকল আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়।