‘আপনার চোখকে ভালবাসুন, শিশু চোখের যতœ নিন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে আজ বৃহষপতিবার বিশ্ব দৃষ্টি দিবস ২০২৪ দিবস পালন করেছে ছিন্নমূল মানব কল্যাণ সোসাইটি (সিএমকেএস) ফরিদপুর। এ উপলক্ষ্যে জেলা সিভিল সার্জন অফিস কতৃক আয়োজিত মূল র্যালীতে অংশগ্রহণ করে সিএমকেএস এর কমীবৃন্দ।
র্যালীটি সিভিল সার্জন অফিস থেকে শুরু হযে জেনারেল হাসপাতালে এসে শেষ হয়। র্যালী শেষে জেনারেল হাসপাতালে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা পরবতী সিএমকেএস ফরিদপুর সেবা কেন্দ্রে অপর এক আলোচনা সভায় জেলা ইনচার্জ মো. পলাশ খান বলেন, আমাদের সমগ্র দেহ মহান আল্লাহ তাআলার এক অপার দান। তবে এর মধ্যে চোখ মহান আল্লাহ তাআলার এমন একটি নেযামত যার কোন বিকল্প নেই। তিনি শিশুদের চোখের প্রতি বিশেষ যত্নবান এবং সচেতন হবার প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, আমাদের শিশুদের সাম্প্রতিককালে চশমার ব্যবহার বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর কারণ শিশুদের চোখের কম দৃষ্টি শক্তি। যার একটি বিশেষ কারণ শিশুদের ব্যাপক হারে মোবাইল ব্যবহার। কেননা আমরা প্রায়শই আমাদের কাজ সম্পাদন করতে গিয়ে শিশুদের হাতে মোবাইর তুলে দেই। যা একটি মারাতœক ভূল। আমাদের জানা প্রয়োজন একজন প্রাপ্ত বয়স্ত অথবা বৃদ্ধ অপেক্ষা শিশুর চোখের অসুস্থ্যতায় চিকি’সা ব্যয় দুই থেকে তিনগুন বেশী এবং তার প্রভাবও সুদুরপ্রসারী। তিনি চোখের অসুস্থ্রতার পূবেই সচেতন হতে বিশেষ গুরুপ্ত দেন। পাশাপাশি চোখের যেকোন সমস্যায় দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণের কথা বলেন।
উল্লেখ্য বৈশিক পেক্ষাপটে অন্ধত্ব ও চোখের বিকলতা সম্পকে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যকে সামনে নিযে প্রতি বছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় বৃহষপতিবার বিশ্ব দৃষ্টি দিবস পালিত হয়। যা ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে লাযন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল কতৃক অনুষ্টিত সাইট-ফান্ট ক্যাম্পেইনের ফলশ্রæতিতে শুরু হয়। মুলত আইসিডিডিআর,বির ব্যবস্থাপনায় ও গ্লোবাল ফান্ডের আর্থিক সহায়তায় এবং জাতীয় এইডস/এসটিডি প্রোগ্রাম এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ‘কনটিনিউয়েশন এ্যান্ড স্কেল আপ অব প্রিভেনশন এ্যান্ড ট্রিটমেন্ট সার্ভিসেস ফর কী পপুলেশন ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় ফরিদপুরে “হিজড়া ও হিজড়াদের ন্যায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠিদের এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ঢাকা আহছানিয়া মিশন কনসোটিয়াম সিএমএকএস ফরিদপুর। প্রকল্পের কাজের পাশাপাশি নানাবিধ সামাজিক ও উন্নয়ন মূলক কাজে অংশগ্রহণ ও জনসাধারণকে সচেতন করতেই বিশ্ব দৃষ্টি দিবস ২০২৪ পালন করে সিএমএকএস ফরিদপুর।