1. kazi.rana10@gmail.com : Sohel Rana : Sohel Rana
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন

ফরিদপুরে জুস তৈরির কারখানায় অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : রবিবার, ৫ মে, ২০২৪
  • ২৫০ Time View

শিশুখাদ্য ফলের জুস তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে। তবে সেই ফলের জুসে কোনো ধরনের ফলের উপস্থিতি নেই। শুধুমাত্র বিভিন্ন ধরনের কেমিকেল এবং রং ব্যবহার করেই তৈরি করা হচ্ছিল সেসব জুস। ফরিদপুরে এমনই একটি কারখানায় অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের টের পেয়ে পালিয়ে গেছেন ওই কারখানার মালিক। জব্দ করা হয়েছে বিপুল ভেজাল জুস। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কারখানাটি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাইরে থেকে কিছুই বোঝার উপায় নেই। দরজা বন্ধ করে বাড়ির ভেতরে কয়েকটি রুমের ভেতরে বসানো হয়েছে মেশিন।

সেখানেই চলছে বিষাক্ত কেমিকেল ও বিভিন্ন রং ব্যবহার করে জুস তৈরি। শনিবার (৪ মে) শহরের পৌরসভার মামুদপুর এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাড়ির দরজা ভেতরে থেকে আটকানো। দরজায় কড়া নাড়ানো হলেও খোলা হচ্ছে না। কিছুক্ষণ পর খোলা হল দরজা। ভেতরে ঢুকতেই দেখা গেল কয়েকজন নারী শ্রমিক কাজ করছেন। তারা বোতলে জুস ভরছেন, কেউবা প্যাকেজিং করছেন। নোংরা পরিবেশে বিষাক্ত কেমিকেল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে জুস। জুসের বোতলে বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির লেভেল লাগানো হচ্ছে। লিচু, ম্যাংগো জুস ছাড়াও চকলেট প্যাকেট করা হচ্ছে। পাশাপাশি আয়ুর্বেদিক অ্যালকুলিসহ বিভিন্ন ওষুধও বোতলজাত করা হচ্ছে। কর্মরত নারী শ্রমিকরা জানান, তারা সকালে আসেন রাতে চলে যান। তারা চলে যাওয়ার পর রাতে তৈরি করা হয় জুস, সকালে এসে তারা বোতলজাত করেন। তবে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে পালিয়ে যান কারখানার মালিক মো. লিটন মিয়া। সেখান থেকে বিপুল ভেজাল জুস ও বিভিন্ন মালামাল জব্দ করে আদালত।

অভিযানের নেতৃত্বদানকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজিবুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিপুল নকল জুস জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও আয়ুর্বেদিক অ্যালকুলিসহ বিভিন্ন ধরনের চকলেট জব্দ করা হয়। তিনি আরও জানান, পুড়িয়ে ধ্বংস করা হবে জব্দকৃত মালামাল। এছাড়া কিছু মেশিনারিজ রয়েছে সেগুলোও জব্দ করা হয়েছে। কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কারখানার মালিক লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে। এছাড়া অবৈধভাবে আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মুজিবুল ইসলাম জানান, শিশুদের খাদ্যে এধরনের কেমিকেল ও রং ব্যবহার করে যারা এধরনের জুস ও চকলেট তৈরি করছেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023
error: Content is protected !!