1. kazi.rana10@gmail.com : Sohel Rana : Sohel Rana
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১১:০৩ অপরাহ্ন

চাঁদা দাবি ও হয়রানির প্রতিবাদে নারী উদ্যোক্তার সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : সোমবার, ৪ মার্চ, ২০২৪
  • ৫১৯ Time View
চাঁদা দাবি ও হয়রানির প্রতিবাদে নারী উদ্যোক্তার সংবাদ সম্মেলন

সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে চাঁদা দাবি, হয়রানিমুলক মামলা ও অপপ্রচার চালিয়ে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ফরিদপুরের ইয়াং লাইফ অ্যাসথেটিক অ্যান্ড লেজার সেন্টারের সত্ত্বাধিকারী শান্তা ইসলাম।
আজ সোমবার (০৪ মার্চ) দুপুরে শহরের অনাথের মোড়ে সাঁঝের মায়া ভবনে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব শাখায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় নারী উদ্যোক্তা শান্তা ইসলাম বলেন, ব্যাংক থেকে মোটা অংকের টাকা ঋণ নিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছেন। ফরিদপুর ছাড়াও ঢাকা ও যশোরে তিনি শাখা স্থাপন করেছেন। কিন্তু তার সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুণ্ণ করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করছে।
শান্তা বলেন, সম্প্রতি তিনি কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিলে তার একজন ক্লায়েন্টের স্বামী যোগাযোগ করে জানান, তার পরিচিত রুনা লায়লা নামে একটি মেয়ে রয়েছে যার ডিভোর্স হয়ে গেছে তাই খুবই অসহায় অবস্থায় রয়েছে। তিনি মানবিক কারণে গত ২৭ জানুয়ারি মেয়েটিকে কাজে নেন। কিন্তু মাত্র অল্পক’দিনের মধ্যে তার চালচলনে সন্দেহ হওয়ায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি আমি তার বাবাকে ফোন করি। কিন্তু তাকে না পেয়ে তার স্বামী রাসেলকে ফোন করি। এরপর রাসেল এসে আমাকে নানাভাবে হুমকি দেয় এবং চাঁদা দাবি করেন। আমি প্রতিবাদ করলে একপর্যায়ে আক্রমণ করে। এসময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে রুনা লায়লার মাথায় কেটে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে রুনার স্বামী রাসেলকে ধরে নিয়ে যায়।
এদিকে, ঘটনার পরে রুনা লায়লার বাবা বাদি হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে থানায় একটি হয়রানিমুলক মামলা করেন। যে মামলায় আমাকে ও আমার পরিবারের লোকদের সাথে রুনা লায়লার স্বামী রাসেলকেও আসামি করা হয়। কিন্ত এরপর রাসেল বাদি হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে আরো একটি মামলা দায়ের করেন।
শান্তা বলেন, বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৬৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি দাড় করিয়েছেন। তিনজন ব্যবসায়ীক পার্টনার রয়েছে এই ইয়াং লাইফ অ্যাসথেটিক এন্ড লেজার সেন্টারে। চারজন ডাক্তার রয়েছে তাদের প্রতিষ্ঠানে। আরো পাঁচজন নারী কর্মী কাজ করেন। এসব ঘটনায় তার প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়।
তিনি বলেন, হয়রানিমুলক মামলা দায়েরের পর একটি মহল ফেসবুকে তার ১২ বছরের মেয়েকে জড়িয়েও কুৎসামূলক রটনা চালাচ্ছে। ছোট্ট মেয়েটি লজ্জায় স্কুলেও যেতে পারছে না। তারা সংঘবদ্ধভাবে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এদের মধ্যে সাংবাদিক পরিচয়ে একজনকে এসব অপপ্রচারের সত্যতা জানতে চাইলে ওই ব্যক্তি কানাইপুরে যেয়ে তাকে একাকি দেখা করতে বলেন।
এদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে গেলে বলা হয়, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট মামলায় তারা শুধু পর্নোগ্রাফি মামলা নিতে পারেন। ডিজিটাল আইনে মামলা করতে হলে তাকে ট্রাইবুনালে অভিযোগ দিতে হবে। একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি এর প্রতিকারের জন্য ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও দোষীদের বিচার দাবি করেন। এব্যাপারে তিনি প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে ফরিদপুরে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, এসব অভিযোগে ফরিদপুরের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নং আমলী আদালতে শান্তা ইসলাম বাদি হয়ে সোমবার একটি মামলা দাখিল করেছেন। মামলায় রাসেল (৩৭), তার ভাই সোহেল (২৮), স্ত্রী রুনা লায়লা (৩০) ও রুনার ভাই মাহাদী হাসানকে (২৮) সহ আরো চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান শান্তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শফিক মুন্সি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023
error: Content is protected !!