ছাত্রদলের ৬ নেতাকর্মীকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ রিংকু। তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেছেন- ৬ জন ছাত্রদলের নেতাকে ৪৮ ঘন্টা গুম করে রাখা হয়েছিলো। অবিলম্বে এদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
ফরিদপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আলোচনা সভায় তিনি এই দাবি জানিয়েছেন। রবিবার (২০ আগস্ট) দুপুর ১২টায় শহরের ব্রহ্মসমাজ সড়কে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির এই নেত্রী।
এর আগে শনিবার (১৯ আগস্ট) ডিএমপির লালবাগ থানা এলাকার একটি বাসা থেকে ছাত্রদলের নেতাদের গ্রেফতার করে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ডিবি।
আলোচনা সভায় প্রশাসনকে উদ্দেশ্যে করে শামা ওবায়েদ বলেন, ‘আপনারা গতকাল হবিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, বরগুনায় তান্ডব চালিয়েছেন, গত দুদিন সারাদেশে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছেন। নয়াপল্টনে বিএনপির অফিস থেকে প্রশাসনের দ্বারা আমাদের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি রবিনকে গ্রেফতার করেছেন। এক কথায় বলে দিচ্ছি, আপনারা জনগণের প্রশাসন, জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকবেন।’
তিনি আরো বলেন- ‘এই সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই একেবারেই। তারা জনগণের কাছে হেরে গেছে। বিএনপির কাছে হেরে গেছে। টিকে থাকার জন্য আনন্দবাজার পত্রিকায় তারা একটি খবর ছাপিয়েছে। আমরা দ্বায়িত্ব নিয়েই বলছি। খোঁজখবর নিয়েছি। দুই দেশের সাথেই কথা হয়েছে। এটি একটি ডাহা মিথ্যা সংবাদ। এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আর কিছু না পেরে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এখন ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়েছে।’
আলোচনা সভায় শেষে ব্রহ্মসমাজ সড়ক থেকে একটি বর্নাঢ্য র্যালীর উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক আঃ রহিম হাওলাদার সেতু। এরপর র্যালিটি শহরের মুজিব সড়ক প্রদিক্ষন করে শহরের কাঠপট্টি এলাকায় দলটির জেলা কার্যালয় চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
এতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাদা মিয়া, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট মোদাররেছ আলী ইছা, যুগ্ম আহ্বায়ক আবজাল হোসেন খান পলাশ, জুলফিকার হোসেন জুয়েল, ফরিদপুর বিভাগীয় যুবদলের সহ-সভাপতি বেনজির আহমেদ তাবরীজ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এএফএম কাইয়ূম জঙ্গি, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন কয়েক’শত নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।