ছোট ভাই রাজ শ্রমিক হারুন ফকিরকে তার নিজ ঘরে হাত-পা বেঁধে আপন বড় ভাই রেলের কর্মচারী মুছা ফকির ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ঘরের আসবাবপত্র, ভাঙচুর নগদ, টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট পাটের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি মধুখালী উপজেলার গাজনা ইউনিয়নের ভাটিকান্দি মথুরাপুর গ্রামে ঘটেছে, গতকাল(৭ জুলাই সোমবার) ভুক্তভোগী হারুন ফকির ও তার স্ত্রী ফরিদা বেগম সাংবাদিকদের কাছে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ঘটনার প্রায় তিন মাস অতিবাহিত হলেও আমাদের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার হয়নি।
হারুন ফকির সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার দিন আমার স্ত্রী বাড়িতে ছিল না, সেই সুযোগে রাত তিনটার সময় আমার মায়ের পেটের ভাই এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী আমার ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে আমার হাত পা বেঁধে মেঝেতে ফেলে রাখে, অতঃপর আলমারি ভাঙ্গিয়া নগর ২ লক্ষ টাকা ও আমার স্ত্রীর দুই ভরি স্বর্ণ নিয়ে যায়।
এছাড়া ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভেঙ্গে চুরমার করে, এছাড়া আমাকেও আমার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয়, আমি মধুখালী থানায় মামলা করিতে গেলে আমার মামলা থানা পুলিশ নিতে অস্বীকার করলে আমি ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। বর্তমান মামলাটি তদন্তাধীন আছে।
হারুন ফকিরের স্ত্রী ফরিদা বেগম সাংবাদিকদের কাছে বলেন, আমার পরিবারকে নিঃস্ব করে দিয়েছে মুছা ফকির, যেকোনো সময় আমারও আমার পরিবারকে মুসা ফকির হত্যা করতে পারে, আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
ঘটনার সময় মুসা ফকির এর সাথে তার সহযোগী বাঁকা মোল্লা, রেহেনা বেগম শাহিনা বেগম,ও শাহানা বেগম ছিলেন বলে ভুক্তভোগী হারুন উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে জানতে মুসা ফকিরের মুঠোফোনে ফোন দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি, সরজমিনে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় গাজনা ইউনিয়নের সাহেব আলী ফকিরের ছেলে মুসা ফকির দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক, ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে রেল কোম্পানিতে চাকরি করছে, বিষয়টি কর্তৃপক্ষ অবগত আছে। এ ছাড়া মুছা ফকির এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে রাখায় তার ভয়ে কেউ মুখ খোলে না,তার বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।