মোর্শেদা আক্তার বয়স ১০ বছর স্থানীয় একটি ব্রাক স্কুলের তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী মোর্শদা। তার বয়স যখন ২ মাস তখন থেকেই শরীরে বাসা বাঁধে থ্যালাসেমিয়ার মতো জটিল ও দুরারোগ্য ব্যাধি। ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের বারোভাগিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে মোর্শেদা।
কৃষক বাবার পরিবারের সদস্যদের চালানোই যখন কষ্টসাধ্য তখন মেয়ের এই দুরারোগ্য ব্যাধি চিকিৎসা করানোই দায়। প্রতিমাসে দুই বার করে মোট চার ব্যাগ করে রক্ত দিতে হয় মোর্শেদাকে। পরিবারটির আয় সীমিত হওয়ায় মোর্শেদার চিকিৎসা ব্যয় মেটানো এখন তাদের পক্ষে দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মোর্শেদার বাবা আব্দুল মান্নান বলেন, “মেয়েটাকে বাঁচাতে চাই, কিন্তু প্রতিমাসে যেভাবে খরচ হচ্ছে, তাতে আর পেরে উঠছি না।
দিনমুজুর কাজ করে সংসার চালানোই কস্ট তারপরেই আমার মেয়ের থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত প্রতিমাসে ২ বার করে রক্ত দিতে হয়। ঢাকা শিশু হাসপাতাল থ্যালাসেমিয়া সেন্টারে তার চিকিৎসার জন্য ২ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। আমি একজন দরিদ্র মানুষ কিভাবে আমি আমার মেয়ের চিকিৎসা করাবো। আমি সরকার ও প্রবাসীদের সাহায্যের অনুরোধ জানাই।
সমাজের অনেক মানুষ আছে যারা এ ধরনের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে হয়তো আবারও স্কুলে ফিরতে পারবে মোর্শেদা, হাসতে পারবে, স্বপ্ন দেখতে পারবে নিজের মতো করে। মানবিক দিক বিবেচনায় সমাজের বিত্তবান, সামাজিক সংগঠন কিংবা সরকার এগিয়ে এলে নতুন জীবন ফিরে পেতে পারে মোর্শেদা।