1. kazi.rana10@gmail.com : Sohel Rana : Sohel Rana
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১২:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ফরিদপুরের একই পরিবারের ৩ জন নিহত

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০২৩
  • ৪০২ Time View
বাবা মোবারক হোসেনের সাথে নিহত দুই সন্তান মাহিয়া মাহি (১৪) ও তানজিল আব্দুল্লাহ (১৭) এবং আহত মেয়ে মিথিলা ফারজানা মীম (১৯)।

সৌদি আরবে পবিত্র মক্কায় ওমরাহ পালন শেষে দাম্মামে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ফরিদপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন ঐ পরিবারের আরও দুইজন। শনিবার (৫ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে সৌদি আরবের আল-কাসিম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মোবারক হোসেন (৪৮), তার দশম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে তানজিল আব্দুল্লাহ (১৭) ও অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে মাহিয়া মাহি (১৪)। এ ঘটনায় আহতরা হলেন- মোবারক হোসেনের স্ত্রী শিখা আক্তার (৪০) ও বড় মেয়ে মিথিলা ফারজানা মীম (১৯)। তারা স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
নিহত সৌদি প্রবাসী মোবারক হোসেন ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার হাজীগঞ্জের গাজিরটেক গ্রামের শেখ মোহাম্মদ আলী ওরফে মোহন শেখের বড় ছেলে। তার পাঁচ ভাই আর তিন বোনের মধ্যে চার ভাই সৌদি প্রবাসী। পদ্মায় ভাঙনের কারনে তারা স্থায়ীভাবে ফরিদপুর শহরের চরকমলাপুরে বসবাস করে আসছেন।
এ ঘটনায় তাদের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাদের স্বজনেরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তার বৃদ্ধা মা অসুস্থ আলেয়া বেগম এ খবর জানার পর থেকেই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) মোবারক হোসেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ওমরাহ পালনের জন্য পবিত্র মক্কার উদ্দেশে রওনা হন। ওমরাহ্ পালন শেষে শনিবার সৌদি আরব সময় সকাল ১০টার দিকে তারা দাম্মাম শহরের নিজ বাসায় ফিরছিলেন। পথে আল-কাসিম নামক স্থানে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি গাড়ি তাদের গাড়িকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তাদের গাড়িটি দুঁমড়ে-মুচড়ে যায় এবং গাড়িতে থাকা পাঁচজন গুরুতর আহত হন। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসক তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকী দুজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা যায়।
মোবারক হোসেন প্রায় দুই যুগ ধরে পরিবার নিয়ে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে বসবাস করে আসছিলেন। সেখানে তার একটি কার রিপেয়ার শপ (গাড়ি মেরামতের দোকান) রয়েছে। প্রায় ৩০ বছর সৌদি আরবে বসবাস তাদের। গত চার মাস আগেও পরিবার নিয়ে দেশে বেড়াতে এসেছিলেন তারা।
নিহতের পিতা শেখ মোহম্মদ আলী ওরফে মোহন শেখ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বড় নাতনি মিমের কানাডা যাওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ করেছিল। তার আগে তারা পরিবার নিয়ে ওমরাহ করতে যায়। তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে আর দুই নাতির জীবন শেষ হয়ে গেল এই দুর্ঘটনায়। আমি আর কি বলবো। একথা বলে অনেকটা বাকরূদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি।
নিহতের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গত বুধবার রাতে বড় ভাই মোবারক হোসেন তাদের ফোন করে জানান যে, তারা পরের দিন ওমরাহ করতে যাবেন। তার ভাইয়ের বড় মেয়ের কানাডা যাওয়ার কথা আর বাচ্চাদেরও পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা স্বপরিবারে ওমরায় যাচ্ছেন বলে জানান। এটিই ছিল তাদের সঙ্গে শেষ কথা। এরপর দুর্ঘটনার দুই ঘণ্টা পরে জানতে পারি গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট করেছে তারা। তবে তারা মারা গেছেন একথা প্রথমেই জানতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে বাংলাদেশ থেকে নিহতের শ্যালক গিয়েছেন সৌদিআরবে। এছাড়া প্রবাসে থাকা দুই ভাই আহত ও নিহতদের কাছে রয়েছেন। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে সরকারের কাছে অনুরোধ করেন, এই রেমিটেন্স যোদ্ধার মরদেহটি যেন সরকার দ্রæত দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023
error: Content is protected !!