আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়নের বেলবানা গ্রামে মোটর সাইকেল কিনে না দেয়ায় মায়ের সাথে অভিমান করে কলেজ ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
বেলবানা গ্রামের মোশ্তাক আহমেদ (ব্যাটেলিয়াম আনসারে) চাকুরিরত এর ছেলে ফরিদপুর মুসলিম মিশন কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র নাহিদ বিশ্বাস (১৭) সোমবার ১৪ এপ্রিল সকাল আনুমানিক ১১ টার দিকে আত্মহত্যা করে। নাহিদ তার বসতঘরের শয়ন কক্ষে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল ও থানা সূত্রে জানা যায়।
সকাল অনুমান ১১ টার দিকে নাহিদ তার নিজ ঘরের শয়ন কক্ষে দরজা বন্ধ করে দিলে নাহিদের মা লাকী বেগমের সন্দেহ সৃষ্টি হয়, এরপর ছেলের নাম ধরিয়া ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজায় ধাক্কাধাক্কি করে ও ডাকচিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে দরজা ভেঙ্গে কক্ষে প্রবেশ করে দেখতে পায়, নাহিদ সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় আছে।
এসময় আরো লোকজন এসে নাহিদকে সিলিং ফ্যান থেকে নামিয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
পরবর্তীতে থানা পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে উপস্থিত হয়ে মৃতের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন। আইনানুগ কার্যক্রম শেষ করে লাস হস্তান্তর করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, ভিকটিম তার মা এর নিকট মোটরসাইকেল কিনে দেবার দাবি করে কিন্তু তার মা মোটরসাইকেল কিনে দিতে রাজি না হওয়ায় নাহিদ অভিমান করে গলায় ওড়না দিয়া ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়।
এ বিষয়ের নিহত নাহিদ এর বাবা আলফাডাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিহত নাহিদের বাড়ীতে তার পিতা মাতা ও আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীদের কান্নায় এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। অল্প বয়সে পিতা-মাতার একমাত্র ছেলে অভিমান করে আত্মহত্মার বিষয়টি সহজে কেউ মেনে নিতে পারছে না।
এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন বিষয়টি আমরা তদন্ত করে আত্মহত্মার প্রমাণ পেয়েছি। এ বিষয়ে নিহতের বাবা বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।