ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফরিদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুরে অবস্থিত স্টার কাবাব রেস্টুরেন্টের কনফারেন্স হলে বদর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সংগঠনের ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি মুফতি মোস্তফা কামাল ফরিদপুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশেরসহকারী দপ্তর সম্পাদক মাওলানা বরকতুল্লাহ লতিফ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ফরিদপুর জেলা শাখার আমীর বদরুদ্দিন, খেলাফত আন্দোলন ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি মিজানুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফরিদপুর জেলা শাখার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খান মোহাম্মদ সারওয়ার,খেলাফত মজলিস বাংলাদেশ ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি হযরত মাওলানা আমজাদ হোসেন, ইসলামিক ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রেজওয়ান হোসেন নাঈম, যুব আন্দোলন সভাপতি কামাল বেপারী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জামিল, জাতীয় ওলামা মাশায়েক সভাপতি মাওলানা শামসুল হক প্রমূখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা বদর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা করেন।
বক্তারা বলেন, “পবিত্র রমজান মাস আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেননা এ মাসেই কোরআন শরীফ নাযিল হয়েছিল।”
বক্তারা বিগত সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “গত ১৭ বছরে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল। সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল। এ সময় ইসলামিক দলগুলো মাঠে ছিল। গত ৫ আগস্টে তার পতন হওয়ার পর দেশের মানুষ এখন স্বাধীন ভাবে কথা বলতে পারছে। এখন আর ভেদাভেদের সময় নেই।আমরা এখন প্রতিটি ইসলামী দল একসাথে কাজ করব”।
বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থেকে চলে গেলেও তাদের দশোরেরা এখনো সক্রিয় রয়েছে এবং তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। বর্তমান সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। কিন্তু সমস্ত ইসলামী দলগুলো যদি একত্র হয়, তাহলে আগামীর সরকার হবে ইসলামী শাসনের সরকার। সমাজ থেকে সমস্ত অন্যায়-অবিচার দূর করে বৈষম্যহীন, ন্যায় ও ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র গড়তে হলে একমাত্র ইসলামী শাসনব্যবস্থাই কার্যকর জীবন ব্যবস্থা।তাই আমাদের সবাইকে এক কাতারে এসে ইসলামী শাসনব্যাবস্থা কায়েম করার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারের লক্ষ্যে যেসব কমিটি প্রনয়ণ করেছে তাদেরকে সংস্কারের যথেষ্ট সময় দিতে হবে। কিছু রাজনৈতিক দল অল্প সংস্কার শেষে নির্বাচন দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। কিন্তু আমাদের দাবী প্রয়োজনীয় পরিপূর্ণ সংস্কার শেষেই নির্বাচন দিতে হবে।