মুকসুদপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো: গোলাম মোস্তফার গণশুনানির কারণে জমিজমা সংক্রান্ত মিসকেস দ্রুত সমাধান হচ্ছে। যার ফলে কমেছে জনদুর্ভোগ। পাশাপাশি সেবাদানের চিত্রের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। একসময় বিভিন্ন কাজে দীর্ঘসূত্রতা থাকলেও বর্তমানে তা দ্রুত সময়ে সমাধান হচ্ছে। মামলার নিষ্পত্তি শেষে বাদী-বিবাদীরা খুশি মনে
এসিল্যান্ড কার্যালয় ত্যাগ করেন। সপ্তাহের প্রতি বুধবার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে বসে এ গণশুনানি। এতে ভূমি সংক্রান্ত নানা জটিলতার অবসান হচ্ছে। ফলে সেবাগ্রহীতাদের মাঝে ফিরেছে স্বস্তি। এছাড়া অফিসে রয়েছে সিটিজেন চার্টার এবং তথ্যসহায়তা কর্মকর্তা। যাতে সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে উপজেলা ভূমি অফিসে এসে সেবা নিতে পারেন।
মুকসুদপুর উপজেলার বর্তমান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম মোস্তফা ২০২৪ সালের ৫ ডিসেম্বর যোগদান করেন। ইতিমধ্যেই তাঁর এ গণশুনানির কারণে প্রায় কয়েক শতাধিক পরিবার উপকৃত হয়েছে। প্রতি বুধবারের এ গণশুনানিতে প্রায় ১০-১৫ টি করে জমিজমা সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি হয়।
উপকারভোগীরা বলেন, বর্তমান এসিল্যান্ড স্যার বাদী ও বিবাদী কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেন। ভুলক্রমে অন্যের জায়গা আমার নামে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে। গণশুনানিতে এসে সমাধান পেয়েছি।
এ ব্যাপারে মুকসুদপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: গোলাম মোস্তফা বলেন, গণশুনানির মাধ্যমে যেসব বিষয়ে বেশি মিসকেস পেয়ে থাকি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় আপোষ বন্টন কম হয়, ওয়ারিশ সম্পত্তি একেকজন ওয়ারিশ নিজেদের মতো ক্রয় বিক্রয় করে দেয় কিন্তু দখলে দেখা যায় অন্যজন থাকে। এই ধরনের সমস্যাগুলো বেশির ভাগ গণশুনানিতে সমাধান করতে হয়। ফলে ভূমি সংক্রান্ত দীর্ঘ দিনের সমস্যা সমাধান হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ওয়ারিশমূলে মালিকানা অর্জনের ক্ষেত্রে আপোষবন্টন এবং ক্রয়সূত্রে ভূমি মালিকানা হস্তান্তর করার সাথে সাথে মালিকগণ নিজ নিজ নামে পৃথক নামজারি জমা খারিজ করিয়ে নিলে এবং নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করলে ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা ও জালিয়াতি উভয়ই হ্রাস পাবে।
এছাড়াও দেখা যায় ডুকুমেন্ট গুলো অনলাইনে জখন আপলোড করে অনেক সময় ওপেন হয় না। যে কারনে মামলা ডিসমিস হয়ে যায়। তাই অনরোধ করবো আপলোড করার পরে একবার ওপেন হয় কিনা চেক করে দেখে নিলে ভালো হয়। মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশক্রমে মুকসুদপুর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সরকারি জায়গায় নির্মিত দোকানপাট উচ্ছেদ, জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত ফসলি জমি রক্ষায় মাটি কাটা ও ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।