মুকসুদপুরে যুবলীগ নেতা সাজ্জাদ শরিফ এখন যুবদল নেতা সেজে চাদাবাজী করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আওয়ামী লীগের আমলে তিনি যুবদল নেতা হিসাবে পরিচয় দিয়ে চাদাবাজী করতেন গত ৫ আগষ্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর এখন যুবদল নেতা পরিচয় দিয়ে চাদাবাজী করছেন।
জানাযায়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি টেংরাখোলা নির্মাণধীন একটি ভবনের কাজ চলাকালীন ভবনের ম্যানেজার আকরাম মোল্লার কাছে ৩০ হাজার টাকা চাদাদাবী করে। পরে ম্যানেজার আকরাম মোল্লাকে আটকে রেখে ভবনের মালিক সৌদিআরব প্রবাসী আরকান শরিফকে ফোন দিয়ে ৩০ মিনিট এর ভিতরে ৩০ হাজার টাকা দিবি তা না হলে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া লাগবে তা না হলে ম্যানেজারকে মেরে ফেলবো হুমকি দেয় সাজ্জাদ শরিফ ও জুয়েল মোল্লা।
এছাড়াও নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বলেন, একই দিয়ে আরো ৩/৪ জনের কাছে চাদাদাবী করেছে সাজ্জাদ শরিফ।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি নির্মাণধীন ভবনের মালিক সৌদিআরব প্রবাসী আরকান শরীফ মুকসুদপুর থানায় চাদাবাজীর অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, সাজ্জাদ শরীফ ও মোঃ জুয়েল মোল্লা, ২১/০২/২০২৫ ইং তারিখে টেংরাখোলার বাড়ির নির্মানাধীন ভবনের ম্যানেজার আকরাম মোল্লা নির্মানাধীন ভবনের রুমে বসা ছিলো সেখানে আসামীগন উপস্থিত হয়ে বাজে ভাষা ব্যবহার করে বলে তোর মালিকে ফোন দে তখন ম্যানেজার আকরাম মোল্লার ফেসবুক থেকে কল দেয় ভবনের মালিককে সাজ্জাদ শরীফ ধরে বলে ৩০ মিনিট এর ভিতরে ৩০ হাজার টাকা দিবি তা না হলে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া লাগবে।
কেনো তোমাকে টাকা দিবো বল্লে তখন ম্যানেজারকে ধরে সাজ্জাদ শরীফ এবং জুয়েল মোল্লা এই দুইজনে কমলাপুর নিয়ে যায় কমলাপুর থেকে আবার আরকান শরিফকে কল দিয়ে বলে তোমার ম্যানেজার কে আটকিয়ে রাখছি টাকা পাঠান না হয় ওকে মেরে ফেলবো এর ভিতর ম্যানেজার কে দিয়ে কথা বলায় সাজ্জাদ শরীফ। তখন ম্যানেজার বলে ভাই আমাকে বাচান আমাকে মেরে ফেলবে। পরে ২০,০০০ হাজার টাকা দিলে ম্যানেজারকে ছেড়ে দেয়।
সাজ্জাদ শরীফ টেংরাখোলা গ্রামের বাবু শরীফের ছেলে ও মোঃ জুয়েল মোল্লা কমলাপুর গ্রামের সাজাহান মোল্লার ছেলে।