অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যে জিম্মি যেন হয়েছে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বালু উত্তোলনের ফলে ধ্বংস হচ্ছে রাস্তাঘাট ও বিলীন হচ্ছে কৃষি জমি। অবৈধ বালু ব্যবসায়ীগণ না কি প্রশাসনের মৌখিক অনুমতি নিয়েই বালু উত্তোলনের মহাযজ্ঞ চালাচ্ছে। মৌখিক অনুমতি বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে মনে করেন সচেতন মহল। তারা বলেন, প্রশাসন দায়সারা অভিযান চালিয়ে ড্রেজারের পাইপ ভেঙে দেয়। পরে ব্যবসায়ীরা স্বল্প খরচে সে পাইপ মেরামত করে পুনরায় শুরু করেন বালু উত্তোলন। অবৈধ বালু ব্যবসায়ীগণ অদৃশ্য শক্তির বলে বলীয়ান হয়ে প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছে বালু উত্তোলনের মহাযজ্ঞ।
ফরিদপুরের সালথায় কুমার নদীর বিভিন্ন এলাকা এখন বালুমহালে পরিণত হয়েছে। নদীর পাড় এখন বালুখেকোদের দখলে। কুমার নদীর বুক থেকে প্রতিদিন অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকার বালু তুলছে প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট। এসব বালু বিভিন্ন স্থানে নির্মাণাধীন স্থাপনা ও খাল ভরাটের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এভাবে বালু উত্তোলন চলতে থাকায় নদী-প্রকৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হুমকিতে রয়েছে নদীতীরবর্তী দুই পাশের পাকা সড়ক, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা। এ ব্যাপারে অভিযান অব্যাহত থাকলেও বন্ধ হচ্ছে না বালু উত্তোলন। গত মঙ্গলবার কুমার নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রির অভিযোগে গট্টি ইউনিয়নের দুটি পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত ড্রেজার মেশিনের ও পাইপ ধ্বংস করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সালথা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, কুমার নদের কয়েকটি স্থানে বালি তোলার বিষয়ে আমি তথ্য ও ছবি পেয়েছিলাম ।সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে দ্রুততার সাথে উক্ত স্থানে পাঠানো হয়।অবৈধভাবে যারা বালি ও মাটি কেটে ফসলি জমি নষ্ট করছে এবং নদীর বিভিন্ন অংশের ক্ষতি করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ অভিযান অব্যাহত আছে।