জাতীয় তথ্য বাতায়নের মুকসুদপুর উপজেলার ওয়েব পোর্টালগুলো বর্তমানে বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। অধিকাংশ পোর্টাল হালনাগাদ না হওয়া বা ভুল তথ্য থাকার কারণে সাধারণ মানুষ ডিজিটাল সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সরকারের উদ্যোগে চালু হওয়া এই পোর্টালগুলোর উদ্দেশ্য ছিল জনগণের হাতের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া, কিন্তু এসব পোর্টালের অব্যবস্থাপনা সেই লক্ষ্যকে ব্যাহত করছে।
মুকসুদপুর উপজেলার ওয়েব পোর্টালগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, বেশিরভাগ পোর্টালে পুরোনো তথ্য দিয়ে ভরা।
উদাহরণস্বরূপ, উপজেলা ফায়ার সার্ভিস , ভুমি অফিসসহ আরো অনেক ভুল তথ্য দেওয়া রয়েছে। থানা পোর্টালেও বর্তমান অফিসার ইনচার্জ মো. মোস্তফা কামালের নাম নেই। এর পরিবর্তে পুরোনো অফিসার ইনচার্জ আবু বক্কর মিয়ার নাম রয়েছে। মুকসুদপুর উপজেলায় প্রায় ৮০টির বেশি প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু পোর্টালে এসব প্রতিষ্ঠানের কোনো তথ্য নেই। পোর্টালের প্রতিটি ঘর ফাঁকা পড়ে রয়েছে। ফলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না।
জনগণ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের তথ্য পেতে জাতীয় তথ্য বাতায়নের পোর্টাল ব্যবহার করেন। কিন্তু পোর্টালের ভুল তথ্যের কারণে তারা বিভ্রান্ত হচ্ছেন।
উদাহরণস্বরূপ, একজন স্থানীয় বাসিন্দা যখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারের নম্বর সংগ্রহ করেন, তখন সেটি বদলি হয়ে যাওয়া ডাক্তারের নম্বর হিসেবে পাওয়া যায়।
একজন অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, পোর্টালগুলোতে যে সামান্য তথ্য আপলোড করা আছে তার অধিকাংশই ভুল। এতে আমাদের তথ্য নেওয়ার আগ্রহই কমে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন, জাতীয় তথ্য বাতায়ন নিয়মিত হালনাগাদ হলে জনগণ সহজেই প্রয়োজনীয় তথ্য পাবে এবং সরকারের ডিজিটাল সেবা বাস্তবায়নের লক্ষ্য পূরণ হবে। তবে এটি সম্ভব করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর আরও আন্তরিকতা এবং প্রশাসনের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।
সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের অন্যতম মাধ্যম এই জাতীয় তথ্য বাতায়ন। তাই এটি সচল রাখার মাধ্যমে জনগণের তথ্য সেবা নিশ্চিত করা সরকারের প্রতি জনগণের আকাক্সক্ষা।