ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছে মুকসুদপুরের সর্বদলীয় জনগণ। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দাবী না মানলে রেল লাইন অবরোধ করা হবে বলেছেন মানববন্ধনকারীরা।
মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে রেল উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে।
মানববন্ধনে বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন ও ইসলামী দল গুলোর নেতা-কর্মিরাসহ সকল পেশার মানুষ হাতে হাত ধরে মানববন্ধনে অংশ নেয় ।
এসময় সড়কের দুই পাশে শত শত যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঢাকা- থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা-খুলনা, ঢাকা- বেনাপোলগামী আন্তঃনগর রেল চলাচলের জন্য মুকসুদপুরে স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। অথচ এই স্টেশনটি চালু করা হয়নি। রেলগুলো এখানে যাত্রাবিরতি করেনা। মুকসুদপুরবাসী এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শুধু মুকসুদপুর নয় পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা, সালথা ও আলফাডাঙ্গার মানুষ এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে রেল যাবে আর আমরা সুবিধা পাবনা এটা হতে পারেনা। এই সুবিধা পেতে আমরা আজ রাস্তায় নেমেছি। তাই আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মুকসুদপুর স্টেশনে রেলের যাত্রাবিরতির দাবী করছি। এই সময়ের মধ্যে যদি দাবী না মানা হয় তবে রেল লাইন অবরোধ করে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হবে।
গতকাল রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে মুকসুদপুর কলেজ মোড়ে মাননববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনের সভাপতিত্ব করেন মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম খান।
মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আ. সালাম খান, মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক তরিকুল ইসলাম রাজু, এডভোকেট ও এপিপি মো: সুলাইমান সিদ্দীক বাদল, গোপালগঞ্জ জেলা শাখার খেলাফত মজলিসের সহ-সভাপতি মাওলানা জাহিদ আল মাহমুদ, ইসলামী আন্দোলন মুকসুদপুর শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা ফরহাদ হোসেন, মুকসুদপুর পৌর বায়তুল মাল সম্পাদক আব্দুর রহমান, মুকসুদপুর ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি মোকারম বিল্লাহ, জামায়াতের ইসলামী মুকসুদপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল আজিজ, মুকসুদপুর পৌর জামায়তের সাধারণ সম্পাদক আবু তালিব, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের নেতা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান নয়ন, জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মদ আলী শেখ প্রমূখ।
উল্লেখ্য : গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-বেনাপোল আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু করলেও মুকসুদপুর রেল স্টেশনে যাত্রা বিরতি না কাশিয়ানী রেল জংশনে গিয়ে যাত্রা বিরতি করে। এতে মুকসুদপুর, ফরিদপুরের সালথা, নগরকান্দা উপজেলাসহ আশপাশের এলাকার যাত্রী সাধারন রেল যাত্রার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।