1. kazi.rana10@gmail.com : Sohel Rana : Sohel Rana
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১১:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

সদরপুরে প্রতারনার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার মুক্তিপণ

সদরপুর প্রতিনিধি
  • Update Time : সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৫৪ Time View

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নারী দিয়ে প্রেমের ফাঁদ সৃষ্টি করে একের পর এক এলাকার ব্যবসায়ী প্রবাসী ও বিত্তবানদের জিম্মি করে লক্ষ লক্ষ টাকার মুক্তিপণ হাতিয়ে নিচ্ছে একটি প্রতারক চক্র। এ চক্রের সদস্যদের বাড়ি সদরপুর ও ভাংগা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। চক্রের প্রতারণার শিকার হয়ে মুজাহিদ মৃধা নামের এক ভুক্তভোগী সদরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় ৯জন কে আসামী করা হয়েছে। আরও অজ্ঞাত রয়েছে অনেকে।

আসামীরা হলেন, সোহরাব খালাসী (৩৩), শেখ ফারুক (৪৮),রাশেদ মোল্যা (৩৫), সুদেব বেহারা (৩৫),শাহেদ আলী মোল্যা (৪৫), শেখ ফারুকের স্ত্রী রেনু বেগম (৪০),সাহেব বেপারী (৫০),সাগর খলিফা (৩০),ডালিম(৩৪)। এদের বাড়ি সদরপুর ও ভাংগা থানার বিভিন্ন গ্রামে। বর্তমানে মামলার অন্যান্য আসামীরা পলাতক রয়েছে। অপরদিকে সদরপুরের কাপড় ও বিয়াল ব্যবসায়ী ইসাহাক কে জিম্মি করা হলে তার স্ত্রী সদরপুর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। দু’টি অভিযোগের ভিক্তিতে সদরপুর থানা পুলিশ এ পর্যন্ত রেনু বেগম, মৌসুমী আক্তার, লিমা বেগম, সোহরাব খালাসী ও রবিন হাসান নামের পাঁচজন কে আটক করে ফরিদপুর জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

ভুক্তভোগী ইসাহাকের স্ত্রী জানান, তার স্বামীকে অপহরন করে মুক্তিপন হিসাবে প্রথমে ২০লক্ষ টাকা দাবী করেছিলেন। পরবর্তীতে স্বামীকে ছেড়ে দিতে ১০লক্ষ টাকা তাদের(প্রতারকচক্রের) ব্যাংক হিসাবে জমা দিতে হবে। টাকা নিয়ে সদরপুর অগ্রণী ব্যাংক শাখায় এসে বিষয়টি সদরপুর অগ্রণী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার কে জানালে তিনি ওই সময় পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন। ইসাহাক কে মুক্ত করতে চক্রের সদস্য মৌসুমী আক্তারের হিসাব নম্বরে ১০লক্ষ টাকা পাঠিয়ে হিসাবটি লকড করে দেন শাখা ব্যবস্থাপক।

পরবর্তীতে উল্লেখিত ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার তদন্ত করে নিশ্চিত হন একাউন্টটি ঢেউখালী ইউনিয়নের মৌসুমী আক্তার নামের এক নারীর। তিনি সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের মোল্যা ডাঙ্গী গ্রামের বাবুল বেপারীর স্ত্রী। পরবর্তীতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মৌসুমি আক্তার কে আটক করে। সদরপুর অগ্রণী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার জানান, সদরপুর উপজেলায় এই প্রতারক চক্রের ভয়াবহ একটি দল রয়েছে। তারা সদরপুর উপজেলার সরকারি বেসরকারি ব্যাংক গুলোতে গ্রাহক হিসাবে চলাফেরা করেন। ব্যাংকে কে টাকা জমা রাখে বা উত্তোলন করে সে বিষয়ে তাকে সনাক্ত করে।

গ্রাহক ব্যাংক থেকে বাহির হলে তাদের পিছনে লাগে। এ চক্রকারীদের নির্মূল না করা গেলে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। অপরদিকে একই নারীর কবলে পড়েন সদরপুর সোনালী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সতেররশি গ্রামের খালেক মিয়া। তিনি ৬লক্ষ টাকা মুক্তিপন দিয়ে ফেরত আসেন। প্রতারক মৌসুমী আক্তার বিভিন্ন নামে পরিচিত। তার খপ্পরে পড়ে এলাকার অনেকেই নিঃস্ব হয়ে গেছেন। থানা পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর তিনি সদরপুরের বাইশরশি গ্রামের সুদেব মন্ডলসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন জড়িত রয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানান।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মুজাহিদ মৃধা জানান, আমাকে হঠাৎ করে মোবাইল ফোনে রং নম্বরে অজ্ঞাতনামা এক মেয়ের ফোন করেন। পরবর্তীতে ভিডিও কলে কথা হয়। এক সময় অটোযোগে ঘুরতে গেলে কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার শেখ ফারুক এর বাড়ীতে নিয়ে তাকে কে আটক করে। শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে তাকে প্রাণনাশের ভয় দেখায়। তার নিকট পরিবারের লোকজনের সহায়তার এর ১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে ৪টি সাদা নন-জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে তার স্বাক্ষর নেয়। পরবর্তীতে সে মুক্ত হয়ে সদরপুর থানায় ৯জন কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল মোতালেব হোসেন বলেন, এই মামলায় ইতিমধ্যে আমরা ৫জন কে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছি। বাকিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023
error: Content is protected !!