ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের গয়েশপুর, বকসিপুর, জারজরনগর, বিজয় নগর ও চরকসুন্দি এই পাঁচ গ্রামের মানুষ মধুমতি নদীর ভাঙনের থেকে রক্ষা পেতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। নদী ভাঙনের হাত থেকে জন্মস্থান আর বিভিন্ন স্থাপনাকে রক্ষা করতে করেছেন বিশেষ মোনাজাত। এলাকাবাসী ও স্থানীয় মাদরাসার ছাত্রদের নিয়ে এই বিশেষ মোনাজাতের ব্যবস্থা করা হয়।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) আয়োজিত এ মোনাজাত পরিচালনা করেন গয়েশপুর মুসলীহুল উম্মাহ্ কওমী মাদরাসার মাওলানা ইয়াসির আরাফাত। এতে অংশ নেন মুসলীহুল উম্মাহ্ কওমী মাদরাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ ভাঙন কবলিত ৫ গ্রামের বিপুল সংখ্যক মানুষ।
এ মোনাজাতে অংশ নিয়ে আকবর মন্ডল, নজরুল ইসলাম, বাহের ফকির, গয়েশপুর মুসলীহুল উম্মাহ্ কওমী মাদরাসার তাওহীদুল ইসলাম জানান, নদীর পানি কমার সাথে সাথে প্রায় ১৫ দিন ধরে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে করে প্রতিদিনই কৃষি জমি ভেঙে পড়েছে। আরও ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে কৃষি জমি, বাড়ি, স্কুল, মাদরাসা ও মসজিদ।
এলাকাবাসীরা জানান, ইতোমধ্যে ওই গ্রামগুলোর ২০টি বাড়ি ও অনেক কৃষিজমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি হাই স্কুল, ৭টি মসজিদ, ১টি মাদরাসাসহ অসংখ্য স্থাপনা। এলাকাবাসী যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে নদী ভাঙনরোধে বাঁধ নির্মাণের জোর দাবি জানিয়ে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে কামারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাকিব হোসেন চৌধুরী জানান, আমি এই গ্রামগুলো, কৃষিজমি ও ঘরবাড়ী মসজিদ, মাদরাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষার্থে ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ফরিদপুর জেলা উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সন্তোষ কর্মকার জানান, আমরা ব্যাপারটি জানতে পেরেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।