ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের শ্রীরামদিয়া গ্রামের আরিফ চৌধুরীর স্ত্রী মুক্তা আক্তার (৩২) গলাকাটা অবস্থায় রান্নাঘরে দেখতে পায় প্রতিবেশীরা।
২৪ অক্টোবর ভোর ৫ টায় পাশের বাড়ির লোকজন কুকুরের ঘেউঘেউ শব্দ পেয়ে নিহতের স্বামী আরিফ চৌধুরীকে জানাইলে ঘর থেকে বেরিয়ে সে স্ত্রীকে রান্নাঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায় পরে আশপাশের লোকজন এসে তড়িঘড়ি করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যায়।
এ ব্যপারে আরিফ চৌধুরী বলেন আমার স্ত্রী আমার নিকট থেকে রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে বাচ্চাকে খাওয়াচ্ছে এবং কখন ঘরের বাহিরে গেছে জানিনা দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ি ভোর ৫ টার সময় পাশের বাড়ির লোকজন এসে আমাকে ডাক দেওয়ার পর দেখি গলাকাটা ও রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
নিহত মুক্তা আক্তার তিন সন্তানের জননী ৯ মাসের শিশু কন্যা আয়েশা ২য় শ্রেণিতে পড়ুয়া আনিশা,এবং দশম শ্রেণী অধ্যয়নরত পুত্র মিনহাজ রয়েছে।
আরিফ চৌধুরী পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয় ফরিদপুর সদর উপজেলার বাখুন্ডা গ্রামের মুক্তা আক্তারের সাথে।
নিহতের ছেলে মিনহাজ (১৫) এর নিকট মায়ের মৃত্যুর ব্যপারে জানতে চাইলে সে কিছুই জানেনা।
ফরিদপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপস( পুলিশ সুপার পদে পদন্নোতি প্রাপ্ত) শৈলেন চাকমা, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান শাকিল উপস্থিত ছিলেন।
তবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা এ বিষয়ে নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফর আলী বলেন লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরে জানা যাবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।