ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বিআরটিসির একটি বাসের সঙ্গে শাহ ফরিদ পরিবহনের একটি বাসের সংঘর্ষে তিন যাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন যাত্রী। বুধবার (১৭ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গার পূর্ব সদরদী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল মান্নান নামের এক সংবাদকর্মী জানান, ‘ঢাকা থেকে বরিশালগামী বিআরটিসি (ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৬৩৯৩) পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা মাদারীপুর থেকে ফরিদপুরগামী শাহ ফরিদ পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব ১১-০৮৬৫) একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এসময় ঘটনস্থলে তিনজন নিহত হন। নিহত তিনজনই শাহজালাল পরিবহনের যাত্রী। নিহত তিনজন হলেন শাহজালাল পরিবহনের চালক ও মাদারীপুর জেলা সদরের মৃত নূর মোহাম্মদ সরদারের ছেলে পান্নু সরদার (৫৮) এবং মৌলভীবাজার জেলার কুলাউরা উপজেলার জয়পাশা গ্রামের জাফর আলী খান (৫৮)। এ ছাড়া নিহত অপর একজনের পরিচয় শনাক্ত করতে কাজ করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আহতদের বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক কর্মকর্তা এম এম মইনুদ্দিন সেতু জানান, বাস দুর্ঘটনায় ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ জন আহত হয়ে এসেছিলেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ১১ জনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি নয়জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নোমান বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধারে কাজ করছি। এছাড়া আমাদের সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের লোকজনও রয়েছে। আমরা বিস্তারিত পরে জানাতে পারবো।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ মোহাম্মদ খায়রুল আনাম জানান, বিআরটিসি পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে শাহ ফরিদ পরিবহনের একটি বাসের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে তিনজন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন ৮-১০ জন। এছাড়া আরও বেশ কিছু লোকজনও আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা ও ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছেন। উদ্ধার কাজ চলছে। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কাজ করছে।