ফরিদপুরের সালথা উপজেলার চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতের আদেশের কপি রিটার্ণিং কর্মকর্তার কাছে এসে পৌছালে বুধবার বিকালে তাকে চাহিদানুযায়ী আনারস প্রতিক দেয়া হয়। এই উপজেলায় অপর চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. ওয়াহিদুজ্জামানকে মোটর সাইকেল প্রতিকবরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বুধবার বিকালে রিটার্ণিং কর্মকর্তা মো. ইয়াসিন কবীর জানান, আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার পর উভয় প্রার্থীর চাহিদা অনুযায়ী প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সোমবার (১৩ মে) বিকাল ৩ টার দিকে সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতের বিচারক এম. ইনায়েতুর রহিম এক আদেশে মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরের প্রার্থিতা দ্রুত ফিরিয়ে দিয়ে নির্বাচন করার জন্য রুল জারি করা হয়েছে। যার কপি পাওয়ার পর মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর ও মো. ওয়াহিদুজ্জামানকে প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়। রিটার্ণিং কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানাগেছে, গত ২৩ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাঁচাই—বাছাইয়ে নিজ স্ত্রীর নামে লাভজনক প্রতিষ্ঠান থাকায় বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলাটির বর্তমান চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
পরে জেলা প্রশাসকের কাছে তিনি আপিল করলে সেখানেও তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এরপর ওয়াদুদ মাতুব্বর মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। হাইকোর্ট ওয়াদুদ মাতুব্বরের রিট আবেদন গ্রহণ করে সোমবার বিকালে রুল জারি করেন। তাই এখন আর ওয়াদুদ মাতুব্বরের নির্বাচনে অংশ নিতে আর কোনো বাধা রইলো না। এ বিষয়ে মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর বলেন, ‘আমি শুধু আমার অধিকারই ফিরে পাইনি, সালথার মানুষও তার ভোটাধিকার ফিরে পেয়েছে। এ রায় জনগণের রায়, এ রায় সালথার সাধারণ মানুষের ভোটাধিকারের রায়।’তিনি আরও বলেন, ‘আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছিল। এখন ন্যায়বিচার পেয়েছি। জনগণ আগামী ২১ মে আমাকে ভোট দিয়ে তাদের রায় দেবেন।’প্রসঙ্গত, আগামী ২১ মে ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থীর মধ্যে ওয়াদুদ মাতুব্বরের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় প্রতীক বরাদ্দ না দিয়ে মো. ওয়াহিদুজ্জামানকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।