ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর বাজার বাস ষ্ট্যান্ডের রাস্তা সংলগ্ন দোকানের চালের উপরে উঠে পাশের বাসার একটি কুকুর দাপাদাপি করতে থাকলে পোষা কুকুরটি সরিয়ে নিতে বলার জ্বের ধরে বাড়ী মালিক ইকবাল খান (৩০) ও তার শ্যালক নাহিদ মোল্যা (২৫) মিলে ব্যাবসায়ী শহীদ শিকদার (৪২)কে রুদ্ধ রুমে নিয়ে বেদম মারপিট করে অজ্ঞান অবস্থায় বস্তায় বেঁধে ট্যাংকিতে ফেলে দেওয়ার পরও প্রাণে বেঁচে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উক্ত ব্যাবসায়ী একই এলাকার আওলাদ হোসেন শিকদারের ছেলে। ঘটনাটি গত শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঘটলেও আহত ব্যাবসায়ী চরভদ্রাসন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়ার পর বুধবার সাংবাদিকের কাছে অভিযোগ তুলে ধরেন। এ ব্যপারে চরভদ্রাসন থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং—০৩, তাং—১৪/৫/২০২৪ খ্রি.।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চরভদ্রাসন থানার এসআই মানষ ভদ্র জানান,“ ঘটনার পর আসামীরা গাঁ ঢাকা দিয়েছে বিধায় এখনো কেউ গ্রেফতার হয় নাই। তবে তাদের গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে”। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসায়ী জানায়, ঘটনার দিন সকালে জনশূন্য এলাকায় দোকানের ফ্লোরে পানি ছিটানোর জন্য এসে দেখি চালের উপরে পাশের বাসার ইকবাল খানের পোষা কুকুরটি দাপাদাপি করছে। কুকুরটি সরিয়ে নিতে বলা মাত্র বাড়ী মালিক ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার শ্যালক নাহিদ মোল্যা মিলে ব্যাবসায়ীকে জোর করে ধরে নিয়ে একটি কক্ষে আটকিয়ে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে বেদম মারপিট করতে থাকে। এ সময় ব্যাবসায়ী বাড়ী মালিকের পা জড়িয়ে ধরে আকুতি করতে থাকে যে, ‘আমার দু’টি সন্তান এতিম হয়ে যাবে, আমাকে জানে মাইরেন না, আমাকে ছেড়ে দেন’। তবুও বাড়ী মালিক ও তার শ্যালক কোনো কথা কর্ণপাত না করে লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে আঘাতের পর আঘাত করে ব্যাবসায়ীকে অজ্ঞান করে ফেলে। পরে অচেতন অবস্থায় বস্তার মধ্যে ভরে তারা ব্যাবসায়ীকে নির্মানাধীন একটি ট্যাংকির মধ্যে ফেলে দেয়।
পরে আহত ব্যাবসায়ী একটু চেতন হয়ে অনেক কষ্টে নির্মানাধীন ট্যাংকি থেকে উঠে এসে রাস্তার পাশে পড়ে থাকলে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। বুধবার বাড়ী মালিক ইকবাল খানের সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি মুঠোফোন রিসিপ করেন নাই। অন্য কেউ ফোন ধরে বলেন যে, ইকবাল খান বাড়ীতে নাই”।