প্রতিবছর রাজধানী ঢাকা থেকে পাটুরিয়া -দৌলতদিয়া হয়ে কয়েকটি জেলার কয়েক লাখ ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের পুঁজি করে আহলাদিপুর হাইওয়ে থানাধীন মহাসড়কে বাড়ে চাঁদাবাজি।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও কৌশলী ভূমিকায় সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের সদস্যরা । গত বছর ঈদুল আযহার আগে ডিজেল চালিত রাজবাড়ী জেলা মাহেন্দ্র মালিক সমিতির নামে স্টিকার লাগিয়ে চাঁদাবাজি করার সময় রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান এর নেতৃত্বে হাতে- নাতে গ্রেফতার হন এই চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্য।
তবে অভিযোগ উঠেছে এই চাঁদাবাজী বন্ধ/চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের সদস্য গ্রেপ্তারে বরাবরই নীরব ভূমিকা পালন করে আসছেন আহলাদিপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ।
আরো অভিযোগ উঠেছে এই চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট সদস্যদের সাথে আহলাদীপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের যোগসাজোস রয়েছে যার কারণে ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁদাবাজরা।
দীর্ঘ অনুসন্ধানে উঠে আসে এমন তথ্য চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের মূল হোতাদের সাথে আহলাদীপুর পুর হাইওয়ে থানা পুলিশের মামাতো- খালাতো ভাইয়ের মতো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
এবং অনুসন্ধানে আরো তথ্য পাওয়া যায় কথিত কতিপয় সাংবাদিক এই চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট ও হাইওয়ে পুলিশের দালালি করে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আহলাদীপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হালিম বাঙ্গালী খবরকে বলেন,
আসন্ন ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখী যাত্রীদের পুঁজি করে মহাসড়কের চাঁদাবাজি করার কোন সুযোগ নেই মাদারীপুর রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশ সুপার মহোদয় চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
আমরা সব সময় তৎপর থাকবো যাত্রীদের কাছ থেকে যেন কোন প্রকার অতিরিক্ত ভাড়া নিতে না পারে।
সেই সাথে থ্রি হুইলার সহ অন্যান্য যাত্রী পরিবহনে স্টিকার লাগিয়ে চাঁদাবাজি যেন কেউ না করতে পারে সেদিকেও আমরা তৎপর থাকবো।
রাজবাড়ী জেলা আইন-শৃঙ্খলা মিটিং এ চাঁদাবাজির রোদে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক সহ পুলিশ সুপার মহোদয়।
সাধারণ যাত্রী ও সচেতন নাগরিকদের দাবি আহলাদীপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ চাঁদাবাজদের সাথে বন্ধুত্ব সুলভ আচরণ না করে কঠোর ভূমিকা পালন করে তাদের আইনের আওতায় আনলে তবেই চাঁদাবাজি বন্ধ হতে পারে।