1. kazi.rana10@gmail.com : Sohel Rana : Sohel Rana
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১২:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

পাশাপাশি দাফন হলেন দুই বোন-ভাবি, আরেক বোনকে শ্বশুরবাড়িতে

বাঙ্গালী খবর রিপোর্ট
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪
  • ২৫০ Time View

মুকসুদপুরের সড়ক দুর্ঘটনা

গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বোন ও ভাবিসহ একই পরিবারের নিহত চারজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার (২০ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের কাজী বাড়িতে দুই বোন নাসিমা বেগম (৬২), আসমা বেগম (৫৬) ও তাদের ভাবি কোমল বেগমকে (৭৫) পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আরেক বোন সালমা বেগমের (৫৮) মরদেহ তার স্বামীর বাড়ি গোপালগঞ্জে দাফন করা হয়েছে। নিহত তিন বোন একই গ্রামের মৃত কাজী আবদুল হামিদের মেয়ে।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে কাজী হুমায়ুন কবির তার স্ত্রী কোমল বেগম, বোন নাসিমা বেগম, আসমা বেগম, সালমা বেগমসহ সাতজন ঢাকা থেকে মাইক্রোবাস ভাড়া করে মাদারীপুরের ডাসারে নিজ গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দেন। পথে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ছাগলছিড়া এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা গ্লোবাল পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের চার নারী যাত্রী ও চালক ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের চারজনই একই পরিবারের

এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হন। আহতরা হলেন কাজী হুমায়ুন কবির, খায়রুল আলম কাজী ও নাজমা বেগম। অন্যজন বাসের যাত্রী। আহতদের মধ্যে কাজী হুমায়ুন কবির ও নাজমা বেগমকে বুধবারই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নিহতের ভাতিজা কাজী কাজল বলেন, ‌‘আমার পাঁচ ফুপু। এভাবে তিন ফুফু ও এক চাচি মারা যাবে কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। এতো বড় শোক মেনে নেওয়া খুব কঠিন। ঘাতক বাসের চালককে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’
আরেক ভাতিজা কাজী আসাদ বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যার দিকে আমার ফুপু নাসিমা বেগম ও আসমা বেগম এবং চাচি কোমল বেগমের মরদেহ গোপালপুরের গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। রাতেই জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়েছে। আরেক ফুপু সালমা বেগমকে তার শ্বশুরবাড়ি গোপালগঞ্জের পৌর এলাকায় দাফন করা হয়েছে।’

প্রতিবেশী সবুজ হোসেন বলেন, একসঙ্গে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এ ঘটনায় পুরো গ্রামজুড়ে শোক নেমে এসেছে।

নিহত কোমল বেগমের মেয়ে কাজী পলি বলেন, ‘পারিবারিক কাজে মা গ্রামের বাড়িতে যান। দুদিন থেকে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু তার আর ফিরে আসা হলো না। মায়ের এ মৃত্যু আমাদের মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে।’

ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, একই পরিবারের চারজন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। নিহতদের মধ্যে তিনজনকে তাদের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023
error: Content is protected !!