ফরিদপুর সদর জেলারেল হাসপাতালের পর এবার মিললো গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে ‘গাঁজা’ গাছের বাগান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির স্টাফ কোয়ার্টারের যাতায়াত পথের পাশে সবজির বাগান ও হাসপাতালের মূল গেট দিয়ে জরুরি বিভাগে যাওয়ার পথে অসংখ্য গাঁজা গাছ দেখা যায়। এছাড়া হাসপাতালের উত্তর পাশে বদ্ধ জায়গাতেও ছোট-বড় অসংখ্য নেশাজাতীয় এসব গাছ রয়েছে। কোনো কোনো গাছ কয়েক ফুট লম্বাও হয়েছে।
খবর পেয়ে বুধবার (২০ মার্চ) বিকেলে র্যাব-৬ এর কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা ওই স্থানগুলো পরিদর্শন করে গাছগুলো তুলে জব্দ করেছে। এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, যে গাছগুলোকে গাঁজার গাছ বলা হচ্ছে, সেগুলো আগে অনেকবার কেটে পরিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু শিকড় থেকে যা আবার হয়েছে। সবার সামনেই এই গাছগুলো বেড়ে উঠেছে, তবে এটা গাঁজার গাছ নাকি ভাং গাছ তা আমাদের জানা ছিল না। র্যাবের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া ক্যাম্প কমান্ডার মো. রাসেল বলেন, ১২শ মতো নেশাজাতীয় গাছ তুলে কাঁচা অবস্থায় কাশিয়ানী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ আদালতের আদেশ মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে। তবে এগুলো গাঁজা নাকি ভাং গাছ, তা যাচাই না করে বলা যাচ্ছে না।
এদিকে, গোপালগঞ্জ বন সংরক্ষক বিবেকানন্দ বিশ্বাস এই গাছগুলোকে প্রাথমিকভাবে ভাং গাছ (নেশাজাতীয় গাছ) হিসেবে চিহ্নিত করলেও গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান সুকলাল বিশ্বাস এই গাছগুলোকে গাঁজার গাছ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।