সালথা প্রতিনিধি: ফরিদপুরের সালথায় সড়ক ও জনপদের অধিগ্রহণকৃত জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মোঃ হাসমত আলী নামক এক ফার্মেসী দোকানদারের বিরুদ্ধে। সে উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের পুরুরা গ্রামের মোঃ মুনসুর মাতুব্বর এর ছেলে।
জানা যায়, উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের অন্তর্গত ৩৩ নং দরজা পুরুরা মৌজার অন্তর্গত ১১৭৯ নং দাগের দখলকৃত ঐ জায়গাসহ আশ পাশের অনেক জায়গা সালথা-মুকসুদপুর হাইওয়ে রাস্তার উন্নয়ন কল্পে অধিগ্রহন করে নেয় সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর। বিনিময়ে ক্ষতিপূরণ বাবদ ভুক্তভোগীদের দেওয়া হয় বিপুল পরিমান অর্থ। যাহার ভাগ উক্ত মোঃ হাসমত আলীও পায়। তবে বছর পেরোতে না পেরোতেই প্রথমে টিনের ছাপড়া দিয়ে বারান্দা তৈরীর এক পর্যায়ে রাতের আঁধারে পাঁকা করে দোকান হিসাবে ব্যবহারের উপযোগী করে তুলেছেন উক্ত মোঃ হাসমত আলী। বর্তমান জায়গাটি সালথা মাহিন্দ্র স্ট্যান্ড নামে পরিচিত।
ধারণা করা হচ্ছে এভাবে অবৈধ ভাবে দখল করে স্থাপনা নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলে তার দেখাদেখি আশ পাশের অনেকেই উৎসাহিত হয়ে একই কাজ করবে। যার ফলে সরকারি জায়গা চলে যাবে ব্যক্তি মালিকানা দখলে।
এছাড়াও সালথা বাজারের গুরুত্বপূর্ণ একটা মোড় এটা। এখান দিয়ে সালথা উপজেলা পরিষদ, থানা, সাব রেজিস্ট্রি অফিস ও সরকারি কলেজে যাতায়াত করে সবাই। এই মোড়ে রয়েছে মাহিন্দ্র স্ট্যান্ড, একটু এগিয়ে গেলে আরো একটি তিন রাস্তার মোড়, আরো একটু এগিয়ে গেলে পাট হাটা, পাশেই রয়েছে পেঁয়াজের বড় হাট সব মিলিয়ে সালথার সবচেয়ে ব্যস্ততম অংশ বলা যায় এটাকে। এমনিতেই এই অংশে মাঝে মধ্যে যানজট লেগে যায় তারপর অপরিকল্পিত অবৈধ ভাবে দখল করে স্থাপনা তৈরী হওয়াতে বাজারের এই অংশে যানজট বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। মাঝে মধ্যে তীব্র যানজটে গাড়ী নিয়ে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ হাসমত আলী বলেন, আমরা উক্ত জায়গা আমাদের ব্যক্তি মালিকানা জায়গা। আমরা জায়গার কোনো ক্ষতিপূরণ নেইনি। শুধুমাত্র ঘরের ক্ষতিপূরণ বাবদ চার লক্ষ টাকা পেয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনিছুর রহমান বালী বলেন, সড়ক বিভাগ থেকে অনেকে অস্থায়ী ব্যবহারের জন্য জমির ইজারা গ্রহণ করে। সেক্ষেত্রে সড়ক বিভাগের মনিটরিং থাকা উচিত যে ইজারা গ্রহীতারা শর্ত লঙ্ঘন করে স্থাপনা নির্মাণ করছে কি না। উপজেলা প্রশাসন শিঘ্রই অবৈধ স্থাপনা অপসারণে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবে।
ফরিদপুরের সড়ক জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী, মোঃ ইমরান ফারহান সুমেল বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর পর্যবেক্ষণ করে অবৈধভাবে নির্মিত ঘরগুলো উচ্ছেদ করা হবে।