1. kazi.rana10@gmail.com : Sohel Rana : Sohel Rana
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

সবার চোখ ফাকি দিয়ে বিমানে উঠে পড়লো মুকসুদপুরের জোনায়েদ

স্টাফ রিপোর্টর
  • Update Time : বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৯০৩ Time View

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শিশু জোনয়েদ মোল্লা (১০) কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি বিমানে উঠে যায়। বিমানটি উড্ডয়নের প্রস্তুতি নেওয়ার আগ মুহূর্তে জানা যায়, সে ওই ফ্লাইটের যাত্রী নয়। গত ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার রাত ৩টা ১০ মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়েতগামী কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট (কেইউ-২৮৪) পাসপোর্ট ও বোর্ডিং পাস ছাড়াই বিমানে উঠে পড়ে সে। পরে তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তাকে বিমানবন্দর থানা হেফাজতে রাখা হয়। কুয়েত এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে উঠে পড়া শিশু জোনয়েদ মোল্লা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের পারইহাটি গ্রামের ইমরান মোল্লার ছেলে। এই ঘটনায় মুকসুদপুর উপজেলাব্যাপী চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শিশুটির বাড়িতে ব্যপক লোক জনের সমাগম হচ্ছে। বিমানবন্দর থানার ওসি আজিজুল হক মিয়া জানান, শিশুটি থানা হেফাজতে ছিল। তার বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায়। তার অভিভাবককে খবর দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে (১২ সেপ্টেম্বর) রাত তিনটার সময় শিশুটির চাচা ইউসুফ মোল্লার নিকট তাকে হস্তান্তর করা হয়।
শিশুটির চাচা ইউসুফ মোল্লা জানান, তার ভাতিজা জোনায়েদ মোল্লা খুবই দুরন্ত পনা। তাকে হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়েছিলো। সেখান থেকে সে বার বার পালিয়ে আসে বলে তাকে মাদ্রাসা থেকে এনে স্কুলে ভর্তি করা হয়েছে। তবুও সে বাড়ি থেকে মাঝে মধ্যে হারিয়ে যায় আবার একাই ফিরে আসে। তারই ধারাবাহিকতায় গত এক সপ্তাহ আগে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমরা তার খোজ পাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি সে সেখান থেকেও পালিয়ে গেছে। বিমানে উঠে পড়ার ব্যাপারে আমরা কিছুই যানিনা। বিমানবন্দর থানা থেকে আমাদের ফোন করা হলে তাকে বিমানবন্দর থানা থেকে নিয়ে আসছি। বর্তমানে সে আমাদের বাড়িতেই আছে।
শিশু জোনয়েদ মোল্লা জানায়, সে বিমান বন্দরের সব নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিমানে উঠে পড়ে। সে কোন কিছু না ভেবে সখের বসে বিমানে উঠে। সে জানেই না যে বিমানে উঠতে বডিং পাস, পাসপোর্ট এবং ভিসা লাগে। সে ভুল করে বিমানে উঠে পড়েছে বলে জানায়।
মুকসুদপুর থানার ওসি মুহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান, বিমানবন্দর থানা থেকে আমাদের থানায় ফোন করা হলে আমরা তার পরিবারের খোজ করে তার পরিবারকে সংবাদ দেই। সংবাদ দেয়ার পরে তারা তাকে বিমানবন্দর থানা থেকে নিয়ে আসে। বর্তমানে শিশুটি তার বাড়িতেই আছে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023
error: Content is protected !!