গোপালগঞ্জে কাশিয়ানীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে সেই বিএনপি নেতা নিয়ামুল হোসেন মিলনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামি নিয়ামুল হোসেন মিলন উপজেলা বিএনপির সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক। তিনি উপজেলা মহেশপুর ইউনিয়নের বাথানডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। বিএনপির নির্বাহী কমিটির ফরিদপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম মো্যার নিকটাত্মীয় ।
বৃহস্পতিবার ১৭ জানুয়ারি দুপুরে একই এলাকার শিল্পী বেগম নামে এক নারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। জানাগেছে, গত ১৭ ডিসেম্বর উপজেলার বাথানডাঙ্গা এলাকা থেকে একটি নাম্বারপ্লেট বিহীন প্রাইভেটকার উদ্ধার করে কাশিয়ানী থানা পুলিশ। পরে ওই প্রাইভেটকারটির মালিক খুঁজে না পাওয়ায় কাশিয়ানী থানা পুলিশ আইনানুগ প্রক্রিয়া গ্রহণ করে জব্দ দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে। এঘটনায় কারো বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপার ও কাশিয়ানী থানা পুলিশের নাম ভাঙিয়ে মামলার বাদী ওই নারী শিল্পী বেগমের কাছে আড়াই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ওই বিএনপি নেতা। চাঁদা দাবির একটি কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। এই ঘটনায় ওই বিএনপি নেতাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয় গণমাধ্যমে। পরে গত বৃহস্পতিবার ওই নারী শিল্পী বেগম বাদী হয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপি সহসাংগঠনিক সম্পাদকের নিকটাত্মীয় বিএনপি নেতা নিয়ামুল হোসেন মিলনকে আসামি করে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে কাশিয়ানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো. শফিউদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে শিল্পী বেগম বাদি হয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আসামী করা হয়েছে একজনকে। আমাদের আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান। দ্রুতই আসামি কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো। এঘটনায় নিয়ামুল হেসেন মিলনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ভাবে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. সেলিম বলেন, মামলা যেহেতু হয়েছে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এবং সাংগঠনিকভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আইন সম্পাদক্ এ্্যডভোকেট জয়নুল আবেদীন মেসবাহর কাছে দলীয় নেতাকর্মীদের চাঁদা দাবি করার বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তিনি জানান, ” বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চাঁদা বাজদের বিরুদ্ধে মামলা করতে বলেছেন। একটি চাঁদা বাজ গোষ্ঠী বিএনপির লেবাসে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় চাঁদা বাজি করছে। মূলত এরা বিএনপির প্রকৃত লোক না। পুলিশ প্রশাসনের নজরদারি রাখা প্রয়োজন। কারণ পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে এরা চাঁদা দাবি করে যতটা জেনেছি। এরা দল ও দেশের শত্রু। এর পিছনে কোন গডফাদার আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। চাঁদা বাজ যেই হোক তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ সুপার সাহেবের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। এরা পুলিশেরও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।