১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে ১৯১৭ সালের ১৫ জুলাই প্রতিষ্ঠা হয় গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলা । ঐ সালের ২১ সেপ্টেম্বর গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর ১৯১৮ সালের ১ জানুয়ারী থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মুকসুদপুর থানার কার্যক্রম চালু হয়। মুকসুদপুর উপজেলার উত্তরে নগরকান্দা ও সালথা, দক্ষিণাংশে কাশিয়ানি উপজেলা, পশ্চিমে বোয়ালমারী উপজেলা, পূর্বে রাজৈর ও ভাঙ্গা উপজেলা।
বর্তমানে মুকসুদপুর উপজেলার মোট ১৬ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা, উপজেলা সদরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। কিছু কিছু নদীপথে ও কিছু পাঁয়ে হেটে যেতে হয়। জেলা সদরের সাথে যোগযোগ অত্যন্ত চমৎকার, সড়ক পথে দূরত্ব ৬০ কিলোমিটার এবং যেতে ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট সময় লাগে। মুকসুদপুর হতে প্রতিদিন বাস জেলা সদরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
মুকসুদপুর উপজেলা থেকে গোপালগঞ্জ জেলার দুরত্ব ৬০ কিঃ মিঃ। এবং বাসের যাতায়ত ভাড়া মাথাপিছু ৮০/- টাকা।
মুকসুদপুরে মুলত দর্শনিয় স্থান অনেক আছে। তার মধ্যে তিনটি ঐতিহাসিক স্থান গুরুত্ব বেশী পায় সব সময়। সেগুলোর হলো উজানী রাজবাড়ী, ছোট বনগ্রাম জমিদার বাড়ী, দেওয়ানশাহ মসজিদ, দিগনগর।
মুকসুদপুরের উল্লেখযোগ্য নদী কুমার নদ। মুকসুদপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে কুমার নদী বয়ে গেছে। নদীর দুই তীর পানি উন্নয়ণ বোর্ড কর্তৃক বেড়ী বাধ নির্মাণ করা আছে। এছাড়াও মুকসুদপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে মধুমতি বিলরুট ক্যানেল বয়ে গেছে।
উজানী রাজবাড়ীঃ মুকসুদপুর উপজেলা সদর থেকে দক্ষিন দিকে মুকসুদপুর উজানী সড়ক হয়ে ২০কিঃমিঃ দূরে উজানী ইউনিয়নের উজানী গ্রামে ঐতিহাসিক উজানী রাজবাড়ী অবস্থিত।
যেভাবে আসবেন: সড়ক পথে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের মুকসেদপুর এসে সেখান থেকে বাসে অথবা ব্যটারী চালিত অটো/ভ্যান/নসিমনে উজানী বাজারের দক্ষিণ দিকে ২০০ মিটার গেলে উজানী রাজবাড়ীতে পৌছানো যায়
ছোট বনগ্রাম জমিদার বাড়ী:
মুকসুদপুর উপজেলা থেকে পূর্ব দিকে মুকসুদপুর টেকেরহাট মহাসড়ক হয়ে ৭কিঃমিঃ দূরে মহারাজপুর ইউনিয়নের বনগ্রাম অবস্থিত। উক্ত গ্রামে বয়ে যাওয়া কুমার নদীর তীরে জমিদার বাড়ী (ভুঁইয়া বাড়ী) অবস্থিত। এটি একটি প্রাচীন প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন।