গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থিত পাতাবাহার গাছ দিয়ে তৈরি আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীকী নৌকার প্রতিকৃতিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করার অভিয়োগ উঠেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে জেলাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে নৌকার প্রতিকৃতিতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, রাতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থিত পাতাবাহার গাছ দিয়ে তৈরি আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীকী নৌকার প্রতিকৃতিতে প্রথমে ভাঙচুর করা হয় ও পরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ভাঙচুর করার সময় তোলা ছবিতে দেখা যায় শরিফুল ইসলাম সোহাগ নামের এক শিক্ষার্থী ভাঙচুর করছে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে ভাঙচুরকারী শিক্ষার্থীরা দাবি করে জানান, কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফ্যাসিবাদের কোনো চিহ্ন থাকতে পারে না। আজ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতীক থাকবে না। তাই ফ্যাসিবাদের শেষ চিহ্নটি মুছে ফেলতে আগুন দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে প্রক্টরের সঙ্গে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে জেলাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন জন্য বিভিন্ন মন্তব্য করেন।
শেখ ফজলে রাব্বী নামে একজন লিখেন, ভাই প্লিজ সৌন্দর্য নষ্ট কইরেন না। ধ্বংস ভালো কিছু বয়ে আনে না। নাম পরিবর্তন, ভাঙাচোরা এসবের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান কোনো সমস্যার সমাধান হবে না।
রাকিত রায়হান স্বনিল নামে একজন লিখেন, একটা ঘৃণিত উদাহরণ তৈরি হলো। নৌকার কথা না হয় বাদই দিলাম। এটলিস্ট সেটা একটা গাছ ছিল। সেই ফার্স্ট ইয়ার থেকে দেখে আসছি। এরকম সৌন্দর্যবর্ধক গাছকে এভাবে পুড়ে যে ফেললো তাকে অন্তত মানুষ হিসেবে মনে করি না। গাছটাকে আপনি অন্য কোনো শেপ দেন, তাই বলে পুড়িয়ে দিতে হবে? বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থানে, তার নামের বিশ্ববিদ্যালয়ে তার দলীয় কোনো চিহ্ন থাকা তো স্বাভাবিক। ইতিহাসে যার যতটুকু অবস্থান তাকে সেই সম্মানটুকু দিতেই হবে। আবার যারা করেছে তাদের কেউ ছাত্রলীগেরই পা চাটা কর্মী। এখন আবার পল্টিবাজ। এটা সম্পূর্ণ উস্কানিমূলক।