গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুরে মাছ,মাংস,ডিমসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যর দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে চলে গেছে, ফলে বাজার করতে গিয়ে ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছে। অনেকে আবার বাজার করতে গিয়ে খালি ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যসহ ডিম, মাছ-মাংসের দাম সাধারণ ক্রেতাদের একেবারে নাগালের বাহিরে চলে যাচ্ছে।
১ কেজি দেশীয় পোমা মাছ ৬০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা, গুড়া মাছ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, পাবদা ৬০০ টাকা, পাঙ্গাস ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৩০ টাকা, রুই মাছ ৩৫০ টাকা, চাষের শিং ৮০০ টাকা, কোরাল মাছ ১২০০ টাকা, চিংড়ি মাছ প্রকারভেদে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, ইলিশ মাছ কেজির নিচে ১০০০ টাকা থেকে ১৭০০ টাকা, কেজির উপরে সাইজের দাম ২৫০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে ফার্মের মুরগী প্রতি কেজি ২২০ টাকা, লাল মুরগি ৩৮০ টাকা, সোনালি মুরগি ৪০০ টাকা, দেশীয় মুরগি ৭০০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, খাসি ১ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ফার্মের ডিম প্রতিহালি ৫৫ টাকা, দেশি হাঁসের ডিম ৭০ টাকা, মুরগির ডিম ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। মৎস্য ব্যবসায়ী বলেন, বর্তমানে বাজারে মাছের সরবরাহ কম এবং ইলিশ মাছ কম থাকার কারণে মাছের দাম একটু বেশি। মুরগি ব্যবসায়ী বলেন, প্রচন্ড গরমের কারণে অনেক মুরগি মারা গেছে যার কারণে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় দাম একটু বেশি। বাজার করতে এসে ক্রেতা দিনমজুর বলেন আমাদের মত দিনমজুরদের মাছ-মাংসের কথা ভুলে যেতে হবে, শুধু দেখেই যাব।
বাজার করতে এসে এক ক্রেতা আক্ষেপ করে বলেন, বাজারে প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যর দাম আমাদের মত সাধারন ক্রেতাদের নাগালের বাইরে দিন দিন চলে যাচ্ছে। দেখার যেন কেউ নেই? অধিকাংশ ক্রেতারা বলেন বাজার মনিটরিং জোরদার করা না হলে এভাবেই সকল প্রকার মালামালের দাম দিন দিন বাড়তেই থাকবে।